উপকরণ:
- সাদা তিল: ১ কাপ
- চিনি: ১ কাপ (বিকল্প হিসেবে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে)
- পানি: ১/৪ কাপ
- এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
- ঘি: ১ চা চামচ (তলায় লেগে যাওয়া ঠেকাতে)
প্রণালী:
- তিল ভাজা:
- একটি শুকনো প্যানে মাঝারি আঁচে তিল হালকা ভাজুন। এটি সুবাস ছড়ালে এবং হালকা সোনালি রঙ ধারণ করলে নামিয়ে নিন।
- ভাজা তিল ঠাণ্ডা করে রাখুন।
- চিনি বা গুড়ের সিরাপ তৈরি:
- একটি প্যানে চিনি বা গুড় এবং পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে সিরাপ বানান। সিরাপ গাঢ় হয়ে গেলে একটি ছোট ফোঁটা ঠান্ডা পানিতে ফেলে দেখে নিন, এটি শক্ত এবং মচমচে হলে সিরাপ তৈরি।
- এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
- তিল মেশানো:
- সিরাপের মধ্যে ভাজা তিল ঢেলে দ্রুত মেশান। সমস্ত তিল যাতে সিরাপে ভালোভাবে মিশে যায়, তা নিশ্চিত করুন।
- খাজা আকার দেওয়া:
- একটি তেল মাখানো প্লেটে বা সিলিকন শীটে গরম মিশ্রণ ঢেলে নিন।
- একটি বেলন দিয়ে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। দ্রুত কাজ করুন কারণ এটি ঠান্ডা হলে শক্ত হয়ে যায়।
- পছন্দমতো আকারে কেটে নিন।
- সংরক্ষণ:
- তিলের খাজা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে একটি বায়ুরোধী কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।
তিলের খাজার উপকারিতা
- পুষ্টিগুণে ভরপুর: তিল ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ।
- শক্তি জোগায়: চিনির কার্বোহাইড্রেট শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।
- শীতকালের জন্য আদর্শ: তিল শরীর উষ্ণ রাখতে সহায়ক।
টিপস:
- সিরাপ বানানোর সময় আঁচ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে সিরাপ বেশি শক্ত হয়ে যাবে।
- বেলন দিয়ে ছড়ানোর সময় তাড়াতাড়ি কাজ করুন, কারণ মিশ্রণ দ্রুত ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায়।
- গুড় ব্যবহার করলে তিলের খাজার স্বাদ আরও গভীর হয়।
শেষ কথা
তিলের খাজা শুধু মিষ্টি নয়, এটি বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। শীতের বিকেলে এক কাপ চায়ের সঙ্গে তিলের খাজা মনকে যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি এটি প্রিয়জনদের জন্য একটি চমৎকার উপহারও হতে পারে। এবার বাড়িতে তৈরি করুন তিলের খাজা এবং পরিবারের সবাইকে চমকে দিন।
আপনার প্রিয় তিলের খাজার স্মৃতি বা রেসিপি শেয়ার করতে ভুলবেন না! 😊